Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মৎস্য সেক্টরের অর্জন

মাছ বাঙালি জাতির সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অংশ। দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যবিমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্য খাতের অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান ৩.৫০ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে ২৫.৭২ শতাংশ। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে মাছ থেকে। দেশের প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে। দেশের মানুষ গড়ে জনপ্রতি প্রতিদিন ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে ৬২.৫৮ গ্রাম মাছ বর্তমানে গ্রহণ করছে।


মহান স্বাধীনতা দিবস মুজিববর্ষে ৫০তম বছরে পদার্পণ করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকালে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্ব পরিমণ্ডলে স্বীকৃত ও সমাদৃত। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে উৎপাদিত মোট মাছের পরিমাণ ৪৩.৮৪ লাখ মেট্রিক টন, যা ২০০৮-০৯ সালের মোট উৎপাদনের চেয়ে ৬২.৩১ শতাংশের বেশি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য মতে, (২০২০) মিঠাপানির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বিশ্বে ৩য় এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১ম ও তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ। দেশ এখন মাছে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই না, উদ্বৃত্তও বটে। এ অর্জন জাতির জন্য গৌরব এবং অহংকারের।


ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে; বর্তমানে ১২৫টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে ইলিশ ব্যবস্থাপনা কৌশল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তর, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী কর্তৃক সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করায় সাম্প্রতিককালে দেশে ইলিশের বিস্তৃতি ও উৎপাদন বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৮-২০০৯ সালে দেশে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন, যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-১৯ সালে ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ গত ১২ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮৩ শতাংশ। গত ২০১৬ সালে ইলিশ বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ইলিশের স্বত্ব এখন শুধুই বাংলাদেশের। এটা জাতির জন্য গৌরবের।